গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেছেন, ‘আমাদের ভূমিকা এখন আর টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এই প্রতিকূল ও সঙ্কটকালীন সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
কর্মী, গ্রাহক ও পার্টনারদের সুরক্ষার বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা নিয়ে তিনি তার সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা সামনে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমরা তাদের সাথে রয়েছি এবং একইসাথে এটুআই, ডব্লিউএইচও, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি, যাতে করে আমাদের আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে- “আমরা কেউ একা নই!”
আজ ১ হাজার ছয়শ’রও বেশি এমপ্লয়ীদের সাথে ভার্চুয়াল টাউনহলে আজমান বলেন, ‘যদি আমরা কোন কিছুতে ব্যর্থ হই তবে, এই প্রতিকূল সময়ে অনেকেই বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়বে; তাই নিজেদের আত্মবিশ্বাস ও আশা অটুট রাখুন। এই ইকোসিস্টেমটিকে গতিশীল রাখতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ক্রেতা থেকে শুরু করে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বিষয়গুলো এর সাথে সংশ্লিষ্ট। আমরা যদি নিজেদের প্রতি যত্নশীল হই, তাহলে আমরা আমাদের নেটওয়ার্কেও ভালো রাখতে পারবো। আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ মানের যোগাযোগ সেবা প্রদান করবো এবং বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের মতো এই বিরুপ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্যক্তিগত, পেশাদার, সামাজিক ও অনলাইন জীবনে সমানভাবে হুমকির মধ্যে রয়েছি। অনলাইনে সহিংসতাকারীরা আগের চেয়েও এখন বেশি সক্রিয়। আমাদের গ্রাহক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা এই অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে তাদেরকে সরক্ষিত রাখার বিষয়টি ভুলে যাবেন না।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আজমান বাসা থেকে অফিস করার ক্ষেত্রে এমপ্লয়িদের উদ্দেশ্যে তিনটি নিয়মের কথা উল্লেখ করেন।
সেগুলো হলো: আপনার নিজের স্বাস্থ্য ও পরিবারের প্রতি যত্নশীল হতে ভুলবেন না। বাসা থেকে অফিস করার বিষয়টিকে নিয়মিত অফিস করার মতো চিন্তা করুন– দলের অন্য সদস্যদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখুন এবং অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য করুন।
সব শেষে আজমান বলেন: “ঘরে থাকাই নিরাপদ- আমরা খুব শিগগিরই দৃঢ়ভাবে ফিরে আসবো!”