জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের ফাঁসি যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে। এরই মধ্যে সে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য দেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে দণ্ড কার্যকর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, কারাগারে অন্যান্য ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মতো আবদুল মাজেদও সলিটারি কনফাইনমেন্টে থাকবেন। এ ক্ষেত্রে তার থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো ঝুকি থাকবে না।
এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর তাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী জুনিয়র অফিসার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২রা অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালে এই মামলার ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৭শে জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন - সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদ। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মৃত্যু হয় মামলার আরেক আসামি আজিজ পাশার।