সাধারণ ছুটিতে বাসায় থাকছেন সব বয়সের মানুষই। তাই অবসর সময় কাটাতে কিংবা বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। এরই মধ্যে ব্রডব্যান্ডের ব্যবহার বেড়েছে আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি, যা আরো বাড়বে বলে মনে করছে সেবাদাতারা। মোবাইল ফোনেও ডেটা ব্যবহার বেড়েছে ২০ শতাংশের মতো। এই সময়ে গ্রাহকদের জন্য কিছু প্যাকেজের দাম কমানোর কথা জানিয়েছে অপারেটররা।
কভিড-১৯ (নভেল করোনাভাইরাস) এর সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায়ই থাকছেন সাধারণ মানুষরা। তাই হাতে এখন অনেক সময়। নতুন পরিস্থিতিতে পরিবারের বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার।
কভিড সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক ভিডিও দেখছেন অনেক পরিবার। কারো সময় কাটছে নাটক বা দেশি-বিদেশি সিনেমাও দেখে।
এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, ছুটিতে অফিস বন্ধ থাকলেও বাসায় ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে। তাই অনেক বাড়িতেই দেয়া হচ্ছে কর্পোরেট সংযোগের ক্যাপাসিটি বলেও জানালেন আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম।
ওদিকে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ২০ শতাংশের মতো তবে কমেছে রিচার্জের পরিমাণ বলে জানিয়েছেন বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাইমুর রহমান।
আর বিটিআরসি’র হিসাবে, দেশে বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার। এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৯ কোটি ৪২ লাখ।