‘রাত ন’টায় ৯ মিনিট’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আহ্বান জানিয়েছিলেন শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রীর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ন’মিনিটের অকাল দীপাবলিতে মাতল গোটা দেশবাসী। ঘড়ির কাঁটায় রাত ন’টা বাজতেই নিভে গেল আলো। জ্বলে উঠল মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ জ্বালিয়ে অকাল দীপাবলি।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশবাসীকে এক সূত্রে বাঁধতে রবিবার ঠিক রাত ন’টা থেকে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বাড়ির বারান্দায়, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ৯ মিনিট ধরে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের আলো জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদী। এ দিন রাত ন’টা বাজতেই বৈদ্যুতিক বাতি নেভানোর ছবি গোটা দেশে। বাসিন্দারা বাড়ির ব্যালকনি বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি, টর্চ, প্রদীপ জ্বালান দেশবাসী।
সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যের ছবিটাও প্রায় একই। রাজ্যে ঠিক ন’টার সময় নিভে যায় রাজভবনের আলো। জ্বলে ওঠে মোমবাতি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও সস্ত্রীক বেরিয়ে আসেন রাজভবনের সামনে।
গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন তালি-থালি বাজিয়ে দেশের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধামনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ওই মোদীর আহ্বানে সাড়া দিতে অনেকেই দল বেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়ায় আঁৎকে উঠেছিল দেশবাসী। যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে দল বেঁধে বেরিয়ে পড়়ায় আরও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তবে একযোগে সারা দেশে বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ করলে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। বিপর্যয়ও ঘটেনি।
রবিবার আলো জ্বালানোর দিন ততটা ভয়াবহ না হলেও অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে বাজি পুড়িয়ে উৎসবের চেহারা নিয়েছে। যে উদ্দেশ্যে আলো নিভিয়ে দেশবাসীকে এক সূরে বাঁধার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তা কতটা সফল হল, তা নিয়ে এ বারও প্রশ্ন থেকেই গেল। আবার লকডাউনের জেরে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও তার মধ্যে এত বাজি কোথা থেকে পাওয়া গেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্র ১৫ মিনিটের কথা বললেও তার চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে অনেকেই উৎসবের মেজাজে প্রদীপ, বাতি জ্বালিয়েছেন।