করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ রাখার জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
শনিবার রাতে এক অডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে তিনি ৩টি বিষয় স্পষ্ট করে অডিও বার্তা দিয়েছিলেন।
ওই বার্তায় তিনি বলেন: কয়েকটি জায়গায় স্পষ্ট করার প্রয়োজন রয়েছে যে, কল কারখানা এবং প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আমাদেরকে যে সার্কুলার দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট লেখা আছে- যে সব রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা পিপিই বানাচ্ছে। যেসব কারখানায় এ ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে, সেসব কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত সাপেক্ষে শিল্পকারখানা চালু রাখতে পারবে। কাজেই কিভাবে আমরা আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দেব এটিই প্রথম কথা।
দ্বিতীয় বিষয়টিও একেবারে স্পষ্ট। তা হলো: মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনরকম কোনো অনীহা, অনাগ্রহ বা কোন কিছুর অবকাশ নেই। মার্চ মাসের বেতন শ্রমিকরা পাবেনই। আমরা নিশ্চিত করতে চাই এটি আমাদের জন্য যত কষ্টই হোক শ্রমিকদের মার্চের বেতন দেবো।
তৃতীয় বিষয়টি হলো শ্রমিকদের উপস্থিতি। যদি কোনো কারণে কোনো শ্রমিক কারখানায় উপস্থিত না থাকেন তাহলে মানবিক বিবেচনায় তার চাকরি যাবে না। এটা আমাদের প্রত্যেক সদস্যের কাছে অনুরোধ করবো। আমি আশা করি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিশ্বাস করি, যেই শিল্প খাত অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে, সেই খাতের মালিকেরা অন্ততপক্ষে শ্রমিকের অনুপস্থিতির কারণে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করবে না। আশা করি মালিকেরা অন্তত অনুরোধটুকু রাখবেন।
এরপর দেওয়া অপর এক বার্তায় তিনি বলেন, আমি শ্রমিকদের সাথে কোনো অন্যায় অত্যাচারের পক্ষে নই।
করোনার এই ঝুঁকিতে কারখানা কেন খোলা রাখা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: আমি বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিত্ব করি। কিন্তু কারখানা খোলা রাখা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে বিজিএমইএ’র কোনো ক্ষমতা নাই। তবু আমি মালিকদের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সাথে সাথে আমাকে এও বলতে হয়েছে যে, যাদের ক্রয়াদেশ রয়েছে এবং পিপিই বানাচ্ছেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খোলা রাখতে পারেন। শ্রম মন্ত্রণালয় ও কলকারখানা অধিদপ্তরও এইভাবেই বলেছে। তারপর আমি শ্রম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েও বিষয়টা জানিয়েছি। অতএব আমার উপর এই বিষয়টা না চাপানোর অনুরোধ করছি।
এক পর্যায়ে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন: সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানার মালিক ভাই ও বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।