বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক জন লেখেন, “আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথি নিয়ে চর্চা করা কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক কখনওই দাবি করেনি করোনার প্রতিষেধক বার করার চেষ্টায় রয়েছে তারা। হ্যাঁ, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা কিছু নিয়ম পালনের পরামর্শ দিয়েছে, কিন্তু আপনি যে ভাবে তথ্য বিকৃত করছেন তা একেবারেই কাম্য নয়।”
করোনা নিয়ে টুইট করে ফের ট্রোলড হলেন অমিতাভ বচ্চন। করোনা মোকাবিলায় হোমিওপ্যাথির ভূমিকা নিয়ে শুক্রবার একটি টুইট করেন বিগ-বি।
তিনি লেখেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক (আয়ুর্বেদ, যোগা, ইউনানি, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথি) যে ভাবে করোনা মোকাবিলায় চেষ্টা চালাচ্ছেন হোমিওপ্যাথি তে উপকার পাওয়া একজন মানুষ হিসেবে আমি এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি আশা রাখছি, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে ভারতই পথ দেখাবে।”
এর পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক জন লেখেন, “আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথি নিয়ে চর্চা করা কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক কখনওই দাবি করেনি করোনার প্রতিষেধক বার করার চেষ্টায় রয়েছে তারা। হ্যাঁ, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা কিছু নিয়ম পালনের পরামর্শ দিয়েছে, কিন্তু আপনি যে ভাবে তথ্য বিকৃত করছেন তা একেবারেই কাম্য নয়।”
দেখুন অমিতাভের টুইট
আর এক জন টুইট করেন, “এমনিতেই সারা দেশ জুড়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হিসেবে নিজেকে দাবি করে করোনা সারিয়ে দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আপনার এই পোস্ট সেই সব ভণ্ড মানুষদের কার্যকলাপ আরও সহজ করে দেবে। ”
নিশ্চিত না হয়ে কী ভাবে এমন ‘দায়িত্বহীনতা’-র পরিচয় দিতে পারেন অমিতাভ, প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
তবে করোনা সংক্রান্ত অমিতাভের টুইট বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তিনি লিখেছিলেন, “মাছি থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে।” তাঁর সেই টুইটটি পুনরায় টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও সে ক্ষেত্রেও বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঢেউ আসায় বাধ্য হয়েই টুইটটি মুছে দেন অমিতাভ।
দেখুন কী বলছেন নেটাগরিকরা
এখানেই শেষ নয়, করোনা মোকাবিলায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রমের তারিফে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রী কাঁসর-থালা-শাঁখ বাজাতে বলেছিলেন। অমিতাভের যুক্তি ছিল শাঁখ-কাঁসর বাজালে, তা থেকে নির্গত কম্পনে মারা যাবে করোনা ভাইরাস। অমিতাভের এই অবৈজ্ঞানিক মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম ট্রোলিং হয়নি। সে ক্ষেত্রেও টুইটটি মুছে দিয়েছিলেন বিগ-বি।
এ বারেও কি টুইট মুছে দেবেন তিনি? না কি তাঁর যুক্তিতে অনড় থাকবেন? উত্তরের অপেক্ষায় নেটাগরিকরা।