দেশে কিম্বা দেশের বাইরে লকডাউনে কার্যত ‘গৃহবন্দি’ সকলেই। যেন থেমে গেছে সময়। ঘরবন্দি থাকতে থাকতে কেউ হাঁপিয়ে উঠেছেন, কেউবা দেশের স্বার্থে দিচ্ছেন সচেতনতার বার্তা।
সময় কাটানোর পথ খুঁজছে জেন নেক্সট। টানা ২১ দিনের লকডাউনের দিন পাঁচেক যেতে না যেতেই স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিফলন ঘটছে নেটিজেনদের একাংশের বিভিন্ন ‘অভিনব’ মুহূর্তের।
ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হক হোম কোয়ারেন্টাইনে। সময় কাটানোর কৌশল খুজে নিয়েছেন তিনি। আত্ম উন্নয়নের পড়াশুনা শুরু করেছেন এরই মধ্যে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে গ্রুপ করে তিনি কাজটি করছেন।
আট বছর আগে শেষবারের মতো গিটার হাতে নিয়েছিলেন বছর সাতাশের শৌণক সেন। এত বছর পর গৃহবন্দি বরানগরের এই আইটি ইঞ্জিনিয়ার ফের একবার নিজের পুরনো শখ ঝালাইয়ে ব্যস্ত।
দীর্ঘদিন রেওয়াজ না করে গলাটা ধরেছে। কিন্তু তাতে কী! গিটার হাতে ফেসবুক লাইভে জীবনমুখী গান, গল্পে এই ‘অদ্ভুত’ অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন তিনি।
বালির বছর পঁচিশের শুভদীপ সামন্ত ফেসবুকে আপলোড করেছেন এক্সারসাইজ-এর ভিডিও। জিম বন্ধ, তাই ডাম্বেল কিংবা লোহার রডের বদলে কখনও জলের ড্রাম, কখনও আবার ফাঁকা গ্যাস সিলিন্ডার তুলে ফেসবুক লাইভে শুভদীপের ‘ওয়ার্কআউট’ বাহবা কুড়চ্ছে।
শুধু, শুভদীপই নন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের স্ট্যাটাসে শরীর সুস্থ রাখার ভিডিও আপলোড করে সময় কাটানোর খোরাক দিচ্ছে জেন নেক্সটের একটা বড় অংশ।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত গড়িয়াহেটের সর্বাণী সেনগুপ্ত বাড়িতে বসে অফিসের কাজের ফাঁকেই তাঁর রান্না করার শখ মেটাচ্ছেন। রান্না করতে করতেই ফেসবুক লাইভে দিচ্ছেন সময় কাটানোর খোরাক
।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এমনই টুকরো-টুকরো ছবি কমবেশি সর্বত্র। এমনিতে বছরভর দৌড়ঝাঁপ, ইঁদুর দৌড়ে টিকে থাকার লড়াই। তার মাঝে হঠাৎ এই ছন্দপতন। ঘর কিংবা পরিবারকে সময় দিতে না পারা মানুষেরা এখন পরিবারে মগ্ন। অফুরন্ত সময়ে পরিজনের সঙ্গে আড্ডা-গানবাজনা। ফেসবুকে সেই ছবিও শেয়ার করছেন কেউ কেউ। করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের পথ একমাত্র লকডাউন। ‘স্টে হোম, সেফ হোম’ প্রোফাইল পিকচারে এই লোগো ট্যাগ করে সচেতনতা বার্তা ফেসবুকজুড়ে।