মহম্মদ আজহারউদ্দিনের একটা সিদ্ধান্ত সচিন তেন্ডুলকরের ক্রিকেট কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল। ‘আজ্জু’র সেই সিদ্ধান্তের ফলে লাভবান হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটও।
কী সেই সিদ্ধান্ত? ওয়ানডে-তে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’কে পাঁচ-ছ’ নম্বর থেকে ওপেন করতে পাঠিয়েছিলেন আজ্জুই। আর ওই একটা সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব ক্রিকেট পেয়েছিল একশো সেঞ্চুরির মালিককে। ওয়ানডে-তে ওপেন করে ৪৯টি সেঞ্চুরির মালিক হন সচিন। টেস্টে তাঁর ব্যাট থেকেই আসে ৫১টি শতরান। আর সচিন ওপেন করতে নামা মানেই প্রথম থেকে বিপক্ষ ভীত সন্ত্রস্ত থাকত। প্রথম বল থেকেই আক্রমণের রাস্তা নিতেন তিনি। বড় রানের ভিত গড়তে সাহায্য করতেন দলকে। ওপেন করতে নেমে সচিন বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে। অথচ শুরুতে তাঁর ব্যাট থেকে বড় রান আসত না।
ওয়ানডে-তে অভিষেকের পরে প্রথম পাঁচ বছর শতরান পাননি ‘লিটল মাস্টার’। অকল্যান্ডের ওয়ানডে-তে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সচিন ৪৯ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
কিন্তু সচিনকে ব্যাটিং অর্ডারে আগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল? আজহার বলেন, ‘‘পাঁচ-ছ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বড় রান পাচ্ছিল না সচিন। এটা আমি লক্ষ্য করেছিলাম। সেই কারণে আমি আর অজিত (ওয়াদেকর) স্যর সচিনকে ওপেন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’’
ব্যাটিং অর্ডারে ‘লিটল মাস্টার’কে উপরে তুলে আনতে কি বেগ পেতে হয়েছিল আজহারকে? ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘‘সচিন এক বাক্যেই রাজি হয়ে গিয়েছিল। আর সচিন ওপেন করতে রাজি হওয়ায় আমরাও সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানকে পেয়েছিলাম।’’
সেই সময়ে সচিনকে ওপেন করতে পাঠানো নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। নতুন বল সামলানোর মতো টেকনিক কি আছে সচিনের? প্রতিপক্ষের সেরা বোলারদের শুরুতেই সামলানোর মতো জমাটি ডিফেন্স কি আছে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-এর?
এমনই সব প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়ে। আজহার বলেন, ‘‘আমি জানতাম ওপেন করার মতো প্রতিভা রয়েছে সচিনের। আর সচিন ওপেন করতে রাজি হয়ে যাওয়ায় আমরাও সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানকে পেয়েছিলাম।’’