বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে শ্রমঘন পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সুরক্ষা ও এ বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ৯ দফার এ সুরক্ষা পদক্ষেপের বিজ্ঞপ্তি আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
১. পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে সার্কুলার দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয় কর্তক প্রকাশিত “নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করনীয়” নির্দেশিকাটি কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব উদ্যোগে রঙ্গিন প্রিন্ট করে কারখানা গেইট, নোটিশ বোর্ড ও সিঁড়িসহ বিভিন্ন প্রদর্শিত স্থানে লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে বিজিএমইএ নিজস্ব উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, সে বিষয়েও একটি নির্দেশিকা তৈরি করে কারখানাগুলোতে প্রেরণ করেছে।
২.বিজিএমইএ তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সেইফটি কমিটি/পার্টিসিপেশন কমিটি/পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কমিটি’কে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং পরবর্তীতে এই কমিটিগুলো কর্তৃক শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছে।
৩.করোনা ভাইরাস থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ নিজ শ্রমিকদের জন্য হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত পানি ও সাবান রাখা, প্রয়োজনে গরম পানি সরবরাহের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
৪. বিজিএমইএ এর উত্তরা অফিসে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় “বিজিএমইএ-করোনা কন্ট্রোল রুম” খোলা হয়েছে।
৫. গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় করোনা পরিস্থিতি নজরদারী ও প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজিএমইএ এর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪টি এলাকাভিত্তিক (জোনওয়াইজ) কমিটি গঠন করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো ১) আশুলিয়া, সাভার ও নবীগঞ্জ; ২) গাজীপুর, শ্রীপুর ও মাওনা; ৩) ডিএমপি এলাকা ও ৪) নারায়নগঞ্জ।
৬. এছাড়াও করোনা বিষয়ে যেকোন তথ্য জানানো বা জানার জন্য বিজিএমইএ উত্তরা অফিসে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। এই হটলাইনে কল রিসিভ করছেন বিজিএমইএ এর প্যারামেডিকস ও নার্স। হটলাইন থেকে করোনা বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলে সরেজমিনে দেখা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাভিত্তিক কমিটিগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। মূল বিষয় হলো, করোনা প্রতিরোধে বিজিএমইএ-করোনা কন্ট্রোল রুম, এলাকাভিত্তিক ৪টি কমিটি, হট লাইন একযোগে কাজ করছে।
৭. করোনা বিষয়ে সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর সাথে বিজিএমইএ সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করছে, যেন জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালের সেবা পাওয়া যায়।
৮. করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিএমইএ ১১টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কারখানাগুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
৯. করোনা প্রতিরোধে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজিএমইএ কার্টুন চরিত্র ব্যবহার করে একটি ভিডিও চিত্র নির্মান করছে, যার লিংক সদস্য কারখানাগুলোকে দেয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের মাঝে প্রদর্শণের অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজিএমইএ এর উত্তরা অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আগতদের জন্য হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা শহরের সাধারন মানুষদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজিএমইএ শহরের বিভিন্ন মসজিদে লিফলেট বিতরন করেছে এবং এ বিষয়ে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করার জন্য মসজিদগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে।