এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে পাবলিক সেক্টরে অর্থসরবরাহ করতে হবে। যাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া যায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বা হবেন তাদেরকে নানাভাবে প্রণোদানা প্রদান। কৃষকদেরও প্রণোদনার প্রয়োজন রয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারকে নানা ধরনের কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প নিতে হবে।
এসব বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারের হাতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে। রাজস্ব আয় কমে গেছে, ব্যাংকে তারল্য সংকট ও শেয়ারবাজারে ধ্বস রয়েছে যার মাধ্যমে সরকার হাতে অর্থ আসে। এই ৩ খাতে অর্থ কম থাকার মানে হলো সরকারের হাতে অর্থ নাই। এখন সরকারকে অর্থের জন্য ভরসা করতে হবে আইএমএফ, বিশ্ব্যাংক, এডিবি ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদান ও ঋণের উপরে।
এই সব ঋণ ও অনুদান সময় মতো ছাড় করায় প্রশাসনিক দক্ষতা প্রয়োজন। কিন্তু পূর্বের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সরকারের প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতায় অর্থ ছাড় হয়নি। সেইখানে সংস্কার না হলে এই অর্থও যথাসময়ে সরকার নিতে পারবে না। রেমিটেন্সের বিষয়ে বলেন, এখনি কোন সমস্যা হবে না। সামনে ঈদ, এসময় কিছু রেমিটেন্স বাড়বে। কিন্তু করোনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে আকষ্মিকভাবে রেমিটেন্স কমে যেতে পারে।
কারণগুলো হলো, জাপানে অলিম্পিক বন্ধ হয়ে গেছে, কাতারে বিশ্বকাপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন দেশে যেসব কনস্ট্রাকশান সেক্টরে কাজ করেন তারা দেশে ফিরে আসবেন। তখন রেমিটেন্স কমে যাবে।
গার্মেন্টের প্রণোদনার বিষয়ে বলেন,আমদানির ভিত্তিতে যে রপ্তানি সেখানে ব্যাংক ইন্টারেস্ট কমিয়ে দিতে হবে। এটি শুধু গার্মেন্ট না সকল ধরনের রপ্তানিতেই তা দিতে হবে। রপ্তানিখাতের মালিকদের স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে যাতে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিতে পারে।
করোনায় দেশের অর্থনীতিতে কি ধরনের প্রভাব পড়বে ও তা কাটিয়ে উঠতে কি করতে হবে এবিষয়ে শনিবার কথাগুলো বলেন, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্ট্রাচার্য।