যুক্তরাজ্য থেকে শেষ দুটি ফ্লাইটে করোনার ঝুঁকি নিয়েই দেশে ফিরেছেন ৭৩ জন প্রবাসী। আশা, বাঁচি-মরি দেশের মাটিতেই। এদের মধ্যে ৬৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে দেয়া হলেও ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ৯ জনকে নেয়া হয়েছে আশকোনায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। এদিকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ২শ’ ৬৯ মার্কিন নাগরিক।
চিরচেনা ব্যস্ত শাহজালাল বিমানবন্দরটি যেন খুব অচেনা। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসালেও নেই স্বজনদের অপেক্ষা। নীড়ে ফিরতে ভরসা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিআরটিসির গাড়ি।
সকাল এগারোটা। লন্ডন থেকে ৬০ যাত্রী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে পৌঁছেছে তাও ঘণ্টাখানেক হবে। কিন্তু অন্যরা হোম কোয়ারিন্টিনের সুযোগ পেয়ে ফিরতে পারলেও, সুযোগ মেলেনি ৯ জনের।
করোনার ঝুঁকি দু’দেশেই তবুও নিজ ভুমে ফিরে আসা। কিন্তু ভিনদেশি পাসপোর্টই যেন সব দেয়াল। সরকারের নিয়ম বিদেশি পার্সপোর্টধারীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন। তাই স্বজন ছেড়ে ফিরতে হলো আশকোনার হজ ক্যাম্পে।
এরপর দুপুরে আরো ১৩ যাত্রী নিয়ে ঢাকা অবতরণ করে ম্যানচেস্টার ফেরত আরেকটা বিমান। যেটি ছিলো বন্ধের আগে ঢাকা যুক্তরাজ্যের শেষ বিমান যোগযোগ।
শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনাল ছিলো ঠিক উল্টো চিত্র। তাদেরও জন্মভূমি বাংলাদেশ। কিন্তু পেয়েছেন মার্কিন নাগরিকত্ব। প্রিয়জনকে ছেড়ে দুর পরবাসের এ যাত্রায় তাদের দীর্ঘ লাইন। শেষ সময়ে বিদায় যেন শেষই হয় না।
যেখানে বিশ্বের সবচাইতে বেশি আক্রান্ত, সেই যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কিসের এত তাড়া? কেউ কেউ অবশ্য অকপটেই বললেন, অন্তত উন্নত চিকিৎসার ভরসাটুকু আছে।
সেই সাথে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা সহ দেশটির নাগরিকরাও এই বিমানে নিজ দেশে ফিরতে লাইন ধরেছেন। যাদের বিদায় জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলার। বিমানে ৪২৩ জন যাত্রীর সাথে ফিরছে ৯টি পোষা কুকুরও।