করোনা ভাইরাস মোকাবেলা নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ, ভেন্টিলেশনসহ অন্যান্য অবাকাঠামোগত সুবিধা। তাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে তিন থেকে ৬ মাসের একটি যৌথ উদ্যোগ। যার নাম দেওয়া হয়েছে জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদান পরিকল্পনা। এজন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগি খুজে বের করা, রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের মতন মোট ছয়টি মূলস্তম্ভও ঠিক করা হয়েছে। সবকিছুর উপর সমন্বিতভাবে পদক্ষেপের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে করোনা মোকাবেলায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেকোন দেশের হাসপাতালে রোগীর জন্য মোট শয্যার অন্তত: দশ শতাংশ কিংবা নিদেন পক্ষে ৪ শতাংশ আইসিইউ থাকতে হয়। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে ৩১ হাজার২২০টি শয্যার বিপরীতে ৩ হাজার কিংবা নূন্যতম ১হাজার ২৪৮টি আইসিইউ থাকর কথা। অথচ আছে মাত্র ২২১টি। যার সবগুলোতে আবার ভেন্টিলেশেন সুবিধাও নেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঢাকা অফিস বলছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশে আইসিইউর জন্য দরকার হবে ৯৪ লাখ ডলার। আর ১৫শ ইউনিট ভেন্টিলেশন সুবিধা প্রস্তুতের জন্য দরকার সোয়া ২ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য খাত করোনা মোকাবেলার উপযোগী করতে হলে প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা দরকার হবে। আর আগামী তিন থেকে ছয় মাসের জন্য এসব পরিকল্পনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করেছে এদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলে।
খসড়া এই পরিকল্পনায়, দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগি খুজে বের করা এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য কাজে লাগাতে হবে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। সেই সাথে দেশজুড়ে চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং সকল সেবাদানকারীদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ আছে ঐ পরিকল্পনায়। স্থানীয় পর্যায়ের ঝুকি নির্ণয় করা এবং সামাজিক দুরুত্ব সংক্রান্ত জনসচেতনতা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া।
তবে এসব পদক্ষেপ সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আশংকা আছে, বিদেশ থেকে আসা মানুষ স্থানীয়দের সাথে মিশে গেলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।
আড়াই হাজার কোটি টাকার জোগানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাথে এনজিও ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।