নিউইয়র্কে ৮০%করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের তাণ্ডব ঘটাতে পারে। আগামী চার মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৮১ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর জুনের আগে ভাইরাসটির প্রকোপ নাও কমতে বলেও জানিয়েছে ইউনির্ভাসিটি অব ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিনের এক দল গবেষক। বিভিন্ন তথ্যম-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তারা এ ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৩২ জন। মারা গেছেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০৬ মানুষ।
গবেষকদের মতে, আগামী এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে কোনো কোনো রাজ্যে ওই মাসের শেষ দিকে রোগী বাড়তে পারে। জুলাইয়ের শেষ দিক পর্যন্ত এ ভাইরাসের কারণে কোনো কোনো রাজ্যক থেকে মারা যাওয়ার খবর আসতে পারে। তবে মারা গেলেও জুনের শেষ দিকে সে সংখ্যা দিনে ১০ এর নিচে নেমে যেতে পারে।
সরকারি তথ্য, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে গবেষকরা ধারণা করছেন, ভাইরাসটিতে যুক্তরাষ্ট্রে কম বেশি হলে মৃতের সংখ্যাও ৩৮ হাজার থেকে এক লাখ ৬২ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজারের বেশি। চীনে ৮১ হাজার ৮৯৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, আর ইতালিতে সে সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৮৯ জন।
নিউইয়র্কে ৮০% করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু ক্যামো বলেন,
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্টেটের তুলনায় নিউইয়র্কে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস অধিকতর দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৯ মাসে নিউইয়র্কের মোট জনসংখ্যার ৮০% করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ক্যুমো।
ক্যামো বলেন, ক্রিসমাসের আগে করোনাভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবেনা। তবে নিউইয়র্ক সিটিবাসীদের আড্ডা দেয়ার প্রতি চরম কটাক্ষ করেছেন তিনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যুমো একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। জারিকৃত আদেশের আওতায় সকল রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এসেনসিয়াল সার্ভিস (অপরিহার্য পরিষেবা) কর্মী ছাড়া বাকি ১০০% কর্মচারিকে বাধ্যতামূলকভাবে স্ব স্ব গৃহে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসেনসিয়াল সার্ভিস হিসেবে ক্যুমো অপারেশন সেন্টারগুলোর স্টাফ; ক্রিটিক্যাল অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মচারি; কল সেন্টার পরিচালনার অপারেটর; কন্সট্রাকশন কর্মীগণ এবং ম্যানেটমেন্টের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাগণের কথা বলেছেন।