করোনাভাইরাসকরোনাভাইরাসবিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। ১৭৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস প্রায় তিন মাসেই গোটা বিশ্বে ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, আজ বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ১০৮ জন। মারা গেছেন ২২ হাজার ৯৯৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২০ হাজার ৯৮৩ জন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এখন ইউরোপ। বিশেষ করে বলা যায় ইতালি ও স্পেন। ইতালিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ১৬৫ জন। প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন, চার হাজার ১৪৫ জন। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৭ প্রাণহানিতে তৃতীয় স্থানে আছে করোনার উৎপত্তিস্থল চীন। আর চতুর্থ স্থানে আছে ইরান, ২ হাজার ২৩৪ জন। পঞ্চম স্থানে আছে আরেক ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৩৩১ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিকে দিয়ে এখনো শীর্ষস্থানে আছে ভয়ানক এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৮২ জন। এরপরই আছে ইতালি, ৮০ হাজার ৫৩৯ জন। একদিন আগে অর্থাৎ বুধবার ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজারের কিছু বেশি। আক্রান্তের দিক থেকে এর পরে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৭৫,২৩৩), স্পেন (৫৬, ১৯৭) ও জার্মানি (৪৩,৬৪৬)। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪০৬ জন।
সুস্থ হওয়ার সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে চীন। বিশ্বজুড়ে এক লাখ ২০ হাজার ৯৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে চীনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইরানে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৭ জন। ইতালিতে ১০ হাজার ৩৬১ ও স্পেনে সাত হাজার ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মারা গেছেন ৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৬ জন। মারা গেছেন ১৩ জন। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১০৬ জন, প্রাণহানি ঘটেছে ৮ জনের। নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারেও এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।