সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, এই তিনটি নাকি ভগবান ঠিক করেই রাখেন। যোগসূত্রের মাধ্যমে লাখ কথার পরেই নাকি বিয়ে হয়। বিয়ে করব বলা মানেই যে করে ফেললেন তা নয়। কিন্তু এবার শুধু পাত্র বা পাত্রী পছন্দ, দুই পরিবারের কথাবার্তা হলেই চলবে না। পরিবর্তে বিয়ের জন্য প্রয়োজন একটি কোর্স করারও। তাতে পাশ করলে তবে আপনি পাবেন বিয়ের জন্য ছাড়পত্র। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। ভাবছেন এ আবার হয় নাকি? কিন্তু আপনার অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
নিজের অভ্যস্ত পরিবেশ ছেড়ে বিয়ের পর তরুণীদের চলে আসতে হয় শ্বশুরবাড়ি। মানিয়ে চলতে হয় সেই পরিবারের সমস্ত সদস্যদের। তাদের ভাললাগা, মন্দলাগাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে থাকে তরুণীর বিয়ে পরবর্তী জীবন। একজন যুবককে বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যেতে হয় না ঠিকই। তবে তাঁরও অভ্যাসের বদল হয় যথেষ্ট। কারণ, তাঁর বিছানা থেকে ব্যবহারিক বেশীরভাগ জিনিসপত্রে ভাগ বসাতে শুরু করেন সবে চিনতে শুরু করা এক তরুণী। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের পর মানুষের জীবনে নানা বদল আসে। এই পরিবর্তন কেউ কেউ মানিয়ে নিতে পারেন। দাম্পত্য জীবন বেশ সুখে কাটতে থাকে তাঁদের। আর কেউ কেউ বদলগুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। তাই সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে ঠেকতে শুরু করে। বিচ্ছেদও নতুন কিছুই নয়। বিয়ের আগের মাত্র তিন মাসের ছোট্ট কোর্স দেবে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে সকলকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে হয় তার শিক্ষা মিলবে ওই কোর্সে। এছাড়াও যৌন শিক্ষা, বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক জ্ঞান ও সন্তান লালনপালনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে ওই কোর্সে।
সম্প্রতি এমনই অভিনব কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ীয় সরকার। সেদেশের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্সের কো-অর্ডিনেটিং মন্ত্রী মুহাদজির এফেন্দি একথা ঘোষণা করেন। যেকোনও বিবাহযোগ্য তরুণ-তরুণী সম্পূর্ণ নিখরচে এই কোর্স করতে পারবেন। এই কোর্স যাঁরা করবেন তাঁরা সুন্দর পরিবার গড়ে তুলতে পারবেন বলেই আশাবাদী ইন্দোনেশীয় সরকার। তিন মাসের এই কোর্স শেষ হলে নেওয়া হবে পরীক্ষা। তাতে পাশ করলে দেওয়া হবে একটি সার্টিফিকেট। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই কোর্স পাশ করছেন, ততক্ষণ পরীক্ষা দিয়ে যেতেই হবে। কারণ, ওই সার্টিফিকেট জোগাড় না হলে ছাদনাতলায় যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে না।