লাউপাতায় মোড়া চিংড়ি পাতুরি নয়তো গোলন্দাজ স্টিমার কারি, আর একটু মন চাইলে মিলে যেতে পারে মাটন কষার সঙ্গে লোভনীয় মাছের ডিমের বড়া। কী ভাবছেন? নিরামিষ কিছু মিলছে না! তা হলে ভুল পথে হাঁটছেন কিন্তু! পালং শাকের পোস্ত থেকে ঠাকুরবাড়ির ফুলকপি, কিংবা ধরা যাক, ভেটকির গুলি পোলাও বা ছানার পোলাও— মানে ভাইয়ের পাত যা যা দিয়ে সাজিয়ে দিতে চান তার সবটাই তৈরি রাখছে ৭/বি, ডোভার লেন।
ভাইফোঁটায় উপোস করে ঘেমেনেয়ে ভাইয়ের জন্য রান্না করতে করতেই এক ফাঁকে ফোঁটার পাট চুকিয়ে ফের রান্নাঘরে ঢুকে পড়া। পুরনো এই ছবিতে বদল আসছে কয়েক বছর ধরেই। বরং পাতপেড়ে সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া সারার জন্য বাঙালি খুব সহজেই আপন করে নিচ্ছে ‘রেস্তরাঁ কালচার’। সকালে ভাইয়ের পাতে নিজের হাতে বানানো পায়েস বা নামকরা ময়রার মিষ্টি না হয় তুলে দিলেন। কিন্তু দুপুরের বা রাতের ভোজ?
চিন্তায় কপালে ভাঁজ আসার আগেই সেই সমাধান করে রেখেছে ‘চিলেকোঠা’। প্রতি বাঙালি উৎসবের মতোই চিলেকোঠা ভাইফোঁটাতেও সাজিয়ে রেখেছে হরেক কিসিমের থালি। সঙ্গে অবশ্যই আর একটু বাড়তি চাহিদা মেটাতে থালির সব পদই আ লা কার্তে মেনুতেও থাকছে।
‘চিলেকোঠা’-র ভাইফোঁটার স্পেশাল নিরামিষ থালি
এ তো গেল তথ্যের অর্ধেক ভাগ। ভাইফোঁটায় যাতে ভাইয়ের পাতে মিষ্টিতেও কোনও খামতি না থাকে, তাই বেকড পাটিসাপটা ও সাতপুরির জোগান থাকছে পাতে। সাতপুরির কথা ভোজনরসিকরা অনেকেই জানেন। কালীপুজো-ভাইফোঁটার সময় মেদিনীপুরে প্রতি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর পরিবারের কাছে এই মিষ্টির তত্ত্ব পৌঁছয়। ভালবাসার সেই উপহারে শুধু সৌজন্য বা লৌকিকতাই মিশে থাকে না, থাকে নারকেলের আদরও। সেই সাতপুরিকেই এ বার প্রিয় ভাই-বোনের পাতে তুলে দিতে চাইলে চিলেকোঠাই একমাত্র ঠিকানা।
আমিষ ও নিরামিষ দুই রকম পদ মিনিয়ে মোট তিন রকমের থালি থাকছে চিলেকোঠার আয়োজনে। পুরো নিরামিষ থালিতে ভেজিটেবল চপ, পালং শাকের পোস্ত থেকে ছানার কালিয়া, পোলাও, লুচি, কাঁচালঙ্কা-ধনেপাতা আলুর দম, ছোলার ডাল, ফুলকপির পকোড়া, ঠাকুরবাড়ির ফুলকপি-সহ ১৪ রকমের পদ পড়বে পাতে। দাম মাত্র ৪৫০ টাকা।
তবে ভাই আমিষপ্রিয় হলেও অসুবিধা নেই। নন ভেজ থালিতেও মিলবে দু’রকমের আয়োজন। লটে, ইলিশ, পাবদা, চিংড়ি, গোয়ালন্দ চিকেন, মাটন, লুচি, কাঁচালঙ্কা-ধনেপাতা আলুর দম, পোলাও, তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত ও প্রায় তিন রকমের স্টার্টার-সহ ১৭ রকমের পদ চাইলে অর্ডার করুন প্রিমিয়াম থালি। খরচ মাত্র ৯২০ টাকা।
‘চিলেকোঠা’-র ভাইফোঁটার মেনুতে শো স্টপার এই সাতপুরি
তবে এত কিছু না চেয়ে লটে, পাবদা, লুচি, ভাত, পোলাও, গোয়ালন্দ চিকেন কারি ও দু’রকমের স্টার্টার-সহ প্রায় ১৫ রকমের পদ দিয়েও সাজাতে পারেন ভাই বা বোনের পাত। এতে খরচ মাত্র ৭৫০ টাকা। আবার যদি ভাবেন, চিকেনের সঙ্গে মাটনটা মিললেও ভাল হত! তা হলেও উপায় আছে। পছন্দের থালির সঙ্গে মাটনের বিশেষ পদটি যোগ করে নিন আ লা কার্তে থেকে। এমন করে যে কোনও স্টার্টার বা অন্য পদও যোগ করতেই পারেন পছন্দের থালির সঙ্গে।
বিশেষ করে এ বছর ঠাকুরবাড়ির ফুলকপি, পালং শাক পোস্ত, গোয়ালন্দ চিকেন, ভেটকি মাছের গুলি পোলাও সাতপুরি এগুলোই থাকছে নতুন চমক হিসেবে। যার মধ্যে সাতপুরি মিস করলে সে দুঃখ কিন্তু সত্যিই ভোলার নয়। ২৫ তারিখ থেকে এই আয়োজন শুরু হলেও ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই মহাভোজ। প্রতি দিন বেলা ১২টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে এই রেস্তরাঁ। ভাইফোঁটার দিন প্রিয়জনদের নিয়ে কেবল পৌঁছে যাওয়ার অপেক্ষা!