ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য, আকাশ ছুঁয়ে যাওয়া টাওয়ার, ঝকঝকে রঙিন আলো সবকিছুই ঠিকঠাক আছে। রাস্তার দুপাশে ঘিরে থাকা ছোট ছোট সবুজ ঘাসগুলোও নিজেদের মতো উঁকি দিচ্ছে। কিন্তু এ সৌন্দর্য্য উপভোগ করার মতো কেউই নেই রাস্তায়! চলছে শুনশান নীরবতা। সিটিভি.সিএ
সাপ্তাহিক ছুটির মানেই কানাডাবাসী উৎসবে মেতে উঠতে ছুটে আসে মন্ট্রিলে। রেস্টুরেন্টে, থিয়েটার, বার ও পাবে গিয়ে দিনের শেষভাগ থেকে শুরু করে রাতভর হৈ-হুল্লোড় করেন তারা। কিন্তু সেই মহানন্দের উইকেন্ড বলে আর কিছু নেই নগরবাসীর জীবনে। সব বন্ধ। মরণঘাতী করোনাভাইরাস ঘরের ভিতর পাঠিয়ে দিয়েছে শহরের সব মানুষকে। শুধু শহরই নয়, পুরো কানাডাবাসী এখন ঘরবন্দী।সিএনএন
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কানাডায় ১০৮৭ জন। যার মধ্যে মারা গেছেন ১৩জন। নিজের দেশের জনগণকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার আবেগমাখা বার্তা পৌঁছে গেছে দেশটির সকল নাগরিকের হৃদয়ে। ফলে কোনো নাগরিক বিনা প্রয়োজনে একেবারেই ঘর থেকে একেবারেই বের হচ্ছেন না।
বেঁচে থাকলে উৎসব অনেক করা যাবে। সবার উর্ধ্বে মানুষ। এই মূলমন্ত্র নিয়েই করোনা মোকাবেলায় মাঠে নেমেছেন ট্রুডো। পুরো দেশ লক ডাউন করার পর এবার সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন তিনি।
ঘরে থাকাবস্থায় দেশের সকল নাগরিকের সকল ব্যয়ভার বহন করার ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রুডো। কিন্তু উৎসবের নগরীতে যে ভাটা পড়েছে সেটা ফিরছে না। হয়তো শহরটি গুমরে গুমরে কাঁদছে। তাতেও তার আপত্তি নেই। শহরটিও মেনে নিয়েছে নিজের ভয়ার্ত রূপ। কেননা মানুষ বাঁচলে তবেই না হবে উৎসব।