মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বুধবার সকালে মেহেরপুর ১ আসানের সংসদ সদস্য ও জেলা অাওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ মরহুমের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এসময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, সদস্য শামীম আরা হীরা,যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী শামিউন বাশিরা জলি, ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধন, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী লতিফুন নেছা লতা উপস্থিত ছিলেন। পরে যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
একজন ছহিউদ্দীন বিশ্বাস
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য ছহিউদ্দীন বিশ্বাসের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। ১৯৯০ সালে এদিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত হয়েছিল ছাত্রজীবন থেকেই। ছহিউদ্দীন বিশ্বাস ১৯২৩ সালে অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার অন্তর্গত লালবাজার এলাকার প্রভাবশালী এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ইয়াকুব বিশ্বাস সমাজে একজন সম্মানিত এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রায় তিন দশক ধরে তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মাতা মোছাঃ সামছুন নেছা ছিলেন গৃহিণী। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর ছহিউদ্দীন বিশ্বাস সপরিবারে তৎকালীন নদীয়া জেলাধীন মেহেরপুর মহকুমায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার ভি.জে হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ভর্তি হন, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় দেশ ও জাতির সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম সহিউদ্দীন বিশ্বাস ১৯৫৮ সালে মেহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচত হন। এরপর ১৯৬৬ সালে পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন।