করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনেক অফিসেই ওয়র্ক-ফ্রম-হোম। আবার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের জন্য মেলামেশাতেও বাধা। বাড়িতে থেকে কাজে লাগান অবসর।
করোনার কোপে অনেকেই এখন সেলফ-কোয়ারান্টাইনে! কেউ কেউ বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ সামলাচ্ছেন, কেউ আবার উপসর্গ দেখলেই সতর্কতাবশত বাড়িতে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে। কারণ যা-ই হোক না কেন, এই ক’দিনের অবসরকে দিব্যি কাজে লাগাতে পারেন:
হোম কোয়ারান্টাইনে কী করবেন
হোম-কোয়ারান্টাইনের অর্থ হল জনসমাগমের মধ্যে না গিয়ে বাড়িতে কয়েকটা দিন কাটানো। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত ঘরে থাকবেন। একেবারে বাকিদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। পরিবারের বাকিদের থেকে মোটামুটি এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখলেই চলবে।
যদি উপসর্গ থাকে, তাহলে মাস্ক ব্যবহার করুন। যিনি পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তির পরিচর্যা করছেন, তিনি হাতে গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করবেন। খাওয়ার আগে অবশ্যই ভাল করে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধোবেন। অযথা নাকে-মুখে হাত দেবেন না।
বিছানার চাদর, ঘর, ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি।
কাজে লাগান অবসর
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যেমন বজায় রাখা জরুরি, তেমনই প্রয়োজন অবসরকে কাজে লাগানো! যাঁরা ওয়র্ক-ফ্রম-হোম করছেন, তাঁরা সময় ভাগ করে নিন। ঠিক করে নিন, দিনের কোন সময়টায় কাজ করবেন। বাকি সময়টা ওয়র্ক প্ল্যানিং করতে পারেন।
কোনও হবি ডেভেলপ করতে পারেন, তবে তা বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই করতে হবে! বাগান করা, গিটার বাজানো, লেখালেখি, ছবি আঁকা ইত্যাদি করতে পারেন। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় ব্যয় না করে, বরং গঠনমূলক ও সৃজনশীল কাজে সময়টা ব্যবহার করুন।
যাঁরা হোম কোয়ারান্টাইনে নেই, নিছক ছুটি উপভোগ করছেন তাঁরা পরিবারকে আরও বেশি করে সময় দিন। পরিবারের সঙ্গে নিখাদ আড্ডা কতদিন উপভোগ করতে পারেননি, ভাবুন তো! তবে তার মানে এই নয় যে, বাড়িতে আরও পাঁচজন বন্ধুবান্ধব ডেকে আনবেন। গ্যাদারিং এসময়ে এড়িয়ে চলতেই হবে।
ওয়েব সিরিজ় বা সিনেমা দেখে সময় কাটাতেই পারেন! কিন্তু এই সময়টা তাকে তুলে রাখা বইগুলো পড়ার জন্য আদর্শ।
ফিট থাকুন
বাইরে বেরোতে পারছেন না বলে একেবারে জবুথুবু জীবনযাপন তো সম্ভব নয়! বাড়িতে বসে সারাদিন জাঙ্ক ফুড খেলে আর ওয়েব সিরিজ় দেখলে শরীরের বারোটা বাজবে! বরং, বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করুন। বাড়ির ছাদে বা বাগানে সকালে-বিকেলে হাঁটতে বা জগিং করতে পারেন। প্রাণায়ম করতে পারেন। ইমিউনিটি ধরে রাখার জন্য হেলদি খাওয়াদাওয়াও জরুরি। ফুড অ্যাপ থেকে খাবার অর্ডার না করে, বাড়ির রান্না করা খাবার খান। যদি উপসর্গ থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এক্সারসাইজ় করবেন।