শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার যন্ত্র মাত্র ২০০ টাকা উৎপাদন খরচে তৈরি করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার দাবি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের৷
সরকারের অনুমতি পেলে তা শিগগিরই বাজারে আনা যাবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী৷
এই কিট নিয়ে গবেষণা দলের সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনানও৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে তার জেনেটিক তথ্য, ইউনিক সিকুয়েন্স, সারফেস প্রোটিন সম্পর্কে যেসব তথ্যের বিশ্লেষণ প্রয়োজন, তা এরই মধ্যে তাদের কাছে এসেছে।
বাংলাট্রিবিউন জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের গবেষক দল ফেব্রুয়ারি থেকে এই কিটের ডিজাইন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। এ প্রযুক্তির ব্যাপারে পুরো গবেষক দলের সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।
এর আগে ২০০৩ সালে র্যাপিড ডট ব্লট সার্স পিওসি কিট তৈরি দলের সদস্য ছিলেন ড. বিজন কুমার শীল। ওই কিটটি সিঙ্গাপুরে পেটেন্ট করা হয়েছিল। এবার করোনার কিট তৈরির জন্য গঠিত গবেষক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজন কুমার। এই কিট তৈরির জন্য বিএসএল টু প্লাস ল্যাব তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, এই কিট বর্তমানে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমতি পেলে এক মাসের মধ্যে তা বাজারে আনা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷
এডিকে/কেএম