ব্যবসা করার জন্য অর্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হোক প্রাথমিক মূলধন কিংবা ব্যবসা চালিয়ে নেওয়ার অর্থ। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যক্তিগত মূলধন কখনোই পর্যাপ্ত নয়। তবে কী পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং সেগুলোর উৎস কী হবে, তা নির্ভর করে ব্যবসার পরিধি এবং ধরনের ওপর। স্টার্টআপের শুরুতে একজন উদ্যোক্তা কীভাবে অর্থসংস্থান করতে পারেন? কয়েকটি উপায় জানাচ্ছেন মো. রাশেদুর রহমান ও জুবেলী খানম।
বুটস্ট্র্যাপিং বা আত্ম-অর্থসংস্থান
একটি স্টার্টআপ শুরু করার জন্য ব্যক্তির কিছু সঞ্চয় থাকা জরুরি, যা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ছোট করে কাজটা শুরু করা যায়। নিজের জমানো টাকা কিংবা আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবের থেকে নেওয়া অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করাটাকে বুটস্ট্র্যাপিং বলা হয়। তবে মনে রাখতে হবে, বড় ধরনের কোনো ব্যবসার জন্য এই ধরনের উৎস একমাত্র ভরসার জায়গা হতে পারে না। এগুলো ছোট ছোট উদ্যোগে বেশ ভালো কাজে আসে। ছোট ছোট উদ্যোগগুলো পরবর্তী সময়ে অনেক বড় হলেও প্রাথমিকভাবে খুব বেশি টাকাপয়সার দরকার হয় না। আজকের সফল উদ্যোক্তাদের দিকে তাকালে দেখবেন, অনেকেই খুব অল্প মূলধন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১ মাসের বেতনের মাত্র ১৫ হাজার টাকাকে পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন আজকের সুপরিচিত অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
ক্রাউড ফান্ডিং
প্রযুক্তির উন্নয়নের সুবাদে সামাজিক এই প্ল্যাটফর্ম ধীরে ধীরে বেশ সফলভাবে গড়ে উঠছে। এই প্ল্যাটফর্মে একজন উদ্যোক্তা শুরুতে তাঁর ভাবনা বা চ্যালেঞ্জগুলো একদল ব্যক্তি বা বিনিয়োগকারীর সামনে উপস্থাপন করেন। কেউ যদি আগ্রহী হন, তিনি আইডিয়াটিকে বাস্তবে রূপদান করতে টাকা দিতে পারেন। এভাবে এক বা একাধিক মানুষের দেওয়া টাকায় গড়ে ওঠে একটি ব্যবসা। বাংলাদেশে অপরাজয় ডট ওআরজি (oporajoy.org) নামে একটি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের প্ল্যাটফর্ম আছে।
এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এতে যেমন অর্থের জোগান হয়, তেমনি বিনা খরচায় এই উদ্যোগ বা উদ্যোক্তার একটা প্রচারণাও হয়ে যায়, ফলে সাধারণ মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, এই প্ল্যাটফর্ম অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তাই যথেষ্ট ভালো ‘আইডিয়া’ নিয়েই আপনাকে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দ্বারস্থ হতে হবে।
২০১৪ সালে ২০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ফেসবুক যে অকুলাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নিল, সেটিও ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।
এঞ্জেল ইনভেস্টরস
আপনি হয়তো মাথায় দুর্দান্ত একটা আইডিয়া নিয়ে বসে আছেন। আর গালে হাত দিয়ে ভাবছেন, যদি কোনো বিনিয়োগকারী আমার এই ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করতেন! ভাবনাটা কিন্তু একেবারে আকাশকুসুম নয়। এমন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন, যাঁরা বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। তাঁদের বলা হচ্ছে ‘এঞ্জেল ইনভেস্টর’। এই ধরনের বিনিয়োগের সংস্কৃতি বাংলাদেশে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। এমন সুবিধা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শহরকেন্দ্রিক। এই ধরনের বিনিয়োগকারী বেশ ধনী হয়ে থাকেন, যাঁরা মূলত নতুন নতুন উদ্যোক্তার আইডিয়াগুলোতে বিনিয়োগ করতে চান। অনেক ধরনের আইডিয়ার মধ্য থেকে সবচেয়ে জুতসই উদ্যোগটিতে বিনিয়োগ করার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে সেটিকে বিচার–বিশ্লেষণ করা হয়। এঞ্জেল ইনভেস্টররা এককভাবে থাকতে পারেন, অথবা একটা দল হয়েও বিনিয়োগ করতে পারেন। বাংলাদেশে গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ এঞ্জেলসের উদ্বোধন হয়েছে। উদ্যোক্তা কিংবা বিনিয়োগকারীরা ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন এই লিংকের মাধ্যমে: www.bdangels.com
এঞ্জেল ইনভেস্টরসদের অবদানে বা অর্থায়নে একটি স্টার্টআপ ঠিক কত বড় আর সফল হতে পারে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাজন ডটকম, স্টারবাকস ও অ্যাপল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুব ছোট আকারেই শুরু হয়েছিল। তহবিলের অভাবে যখন ঠিকভাবে ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন এঞ্জেল ইনভেস্টরসদের মাধ্যমেই এগুলো নিজেদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এখনো ব্যবসায় ঋণের জন্য মানুষের মূল ভরসার জায়গা বিভিন্ন ব্যাংক। সব সময় যে ঋণ গ্রহণের জন্য ব্যাংক একটি ভালো সিদ্ধান্ত, বিষয়টা এমন নয়। কারণ, আমাদের দেশে ব্যাংকগুলো মূলত পরিচিত গ্রাহকদের সঙ্গেই চুক্তিতে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তা ছাড়া ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আগের বছরগুলোর আয়-ব্যয়, জামানত, পূর্বপরিচিতি, কোম্পানির কোনো পরিচালকের গ্যারান্টি ইত্যাদি খুঁজে থাকে। এসব একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার পক্ষে গেলেও একদম শূন্য থেকে শুরু করা একজন উদ্যোক্তার পক্ষে থাকে না। এ ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত। নতুন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া যেখানে ঝুঁকিতে পরিপূর্ণ, সেখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি গ্রহণ করতে আগ্রহী থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১টির বেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনসহ পুরোদমে উদ্যোগের ক্ষেত্রে অর্থায়নের কাজ করে যাচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তাদের উচিত হবে, ব্যবসায় অর্থসংস্থানের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জোগান নিশ্চিত করা।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দিয়ে বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো আজকের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপ ডট ইনক, কিং ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট, যা ক্যানডি ক্রাশ সাগা গেইমটি তৈরি করেছে—এরা সবাই ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমেই নিজেদের ব্যবসায় অর্থসংস্থান করেছে।
বিজনেস ইনকিউবেটর
একটি অপরিণত শিশুকে পরিপূর্ণতা দিতে তাকে যেমন ইনকিউবেটরে রাখা হয়, ব্যবসার ক্ষেত্রেও ইনকিউবেটরের ধারণা প্রচলিত আছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে সফল করার জন্য বিভিন্ন ‘বিজনেস ইনকিউবেটররা’ এগিয়ে আসছে। আমাদের দেশে ধীরে হলেও এই সংস্কৃতি বেশ ভালোভাবেই গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ সরকার একটি উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের ‘ইনকিউবেশন’ প্রকল্পগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের টেন’স ৩৬০ নামক একটি ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফি মিজান খান চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, একটা সময় টাকার অভাবে তাঁরা একটি ব্যবসায় এগোতে পারছিলেন না। অবশেষে ব্র্যাক বিজনেস ইনকিউবেশনের (বিআইসি) একটি ব্যবসায়িক ভাবনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করে তাঁরা সফল হয়েছেন। ইনকিউবেশনে আসার সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে তাঁরা একটি অফিস, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন পুঁজি হিসেবে। ইনকিউবেশনের এই সাহায্যগুলোর মাধ্যমে তিনি পরবর্তী সময়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং তাঁর দল এখন অন্যদের সহায়তার জন্য কাজ করছে।
বাংলাদেশে ব্যবসাসহায়ক প্ল্যাটফর্ম ওয়াইওয়াই গোষ্ঠী এখন ইনকিউবেশনে খুব ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা পুঁজির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কাজের জায়গা এবং ব্যবসায় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সহায়তা যেমন মার্কেটিং ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে।
তা ছাড়া স্টার্টআপ বাংলাদেশের আইডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমেও নতুন নতুন উদ্যোক্তার জন্য অর্থায়ন, মেন্টরশিপ, কাজের জায়গা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়। অ্যাডমিশন নিনজা, অ্যাপ বাজার, বিউটিফুল বরিশাল, হ্যালো লন্ড্রি ইত্যাদি স্টার্টআপ আইসিটি ডিভিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমেই বিকশিত হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থ
নতুন নতুন আইডিয়া উপস্থাপনের প্রতিযোগিতা নিয়মিতই হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূলত অসাধারণ উদ্যোগগুলোকে বের করে আনার চেষ্টা করা হয়। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ আইডিয়াগুলোর জন্য যে ‘প্রাইজমানি’ দেওয়া হয়, তা নেহাতই কম নয়। একজন উদ্যোক্তার জন্য এ ধরনের পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থ ব্যবসা শুরু করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খুব বড় পরিসরে এই ধরনের আয়োজন হয়। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০১৭ সালে ১১টি স্টার্টআপকে ৩৭ হাজার ৫০০ ডলারের অর্থায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচিতি এবং কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেড়ে গিয়েছে। এশিয়া অঞ্চলের জন্য ফাউন্ডারস ভ্যালি কনটেস্টের মাধ্যমেও নতুন এবং চলমান স্টার্টআপে অর্থসংস্থান করা হয়।
ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশের চলমান সংস্কৃতিতে ব্যবসার ঋণের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রথম আকর্ষণের জায়গা হলো ব্যাংক। প্রতিষ্ঠিত কিংবা নতুন উভয় ধরনের ব্যবসার জন্যই বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা আছে। এসএমই ফাউন্ডেশন বর্তমানে ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। তা ছাড়া অন্যান্য ব্যাংক নিজেদের নিয়মকানুনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতিকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন খাতের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। একজন উদ্যোক্তাকে বুঝতে হবে, তাঁর উদ্যোগটি যে খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেটির জন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করা উচিত।
● আইডিএলসি স্টার্টআপ লোন: ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, সময়: ৫ বছর।
● বিনা জামানতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। টাকার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হচ্ছে।
● মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘স্মল বিজনেস লোন’ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কোলেটারালের প্রয়োজন হয় না। সময়সীমা ৫ বছর, তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১ বছর ব্যবসাটির সময়কাল হতে হবে।
● আইএফআইসি প্রান্ত নারী (উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর লোন): তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য এই ঋণ প্রদান করা হয়। মূলত জামদানি, নকশিকাঁথা, বুটিক, বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট, বিউটি পারলার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত এবং ব্যাংকের অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য এই বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঋণসুবিধা পাওয়ার জন্য একজন নারী উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ২ বছর সেই ব্যবসাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। এটি মূলত একটি ‘টার্ম লোন’। ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ফান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক: সফটওয়্যার, ফুড প্রসেসিং, অ্যাগ্রো-বেসড ইন্ডাস্ট্রির জন্য।
● আইডিএলসি উদ্ভাবন লোন: সর্বনিম্ন ৫ লাখ, আনসিকিউরড লোন ২৫ লাখ, আংশিক সিকিউরড লোন সর্বোচ্চ ১ কোটি। সর্বনিম্ন ১৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মাস পর্যন্ত এই ঋণের মেয়াদ। যাঁরা বেসিসের সদস্য, তাঁরা এই ঋণ প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিশেষ সুবিধা পান। তা ছাড়া ২ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক তবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ বছরের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট। উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
ক্ষুদ্রঋণ
বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এনজিও, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা বাংলাদেশ ইত্যাদি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ প্রদান করে থাকে। তারা মূলত তৃণমূল পর্যায়ে এমন উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে, যাঁদের জন্য ক্ষুদ্রঋণই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
স্টার্টআপের জন্য সরকারি প্রকল্প
বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের উপায় খোঁজে। তা ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্টার্টআপের জন্য মূলধন দেওয়ার সুযোগও পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা তাঁর আইডিয়াটি জমা দেন, তারপর কমিটি সেটি বিচার–বিশ্লেষণের পর গ্রহণ করলে তহবিল পাওয়া যায়। স্টার্টআপের অর্থায়নের জন্যে এ ধরনের সরকারি প্রকল্পগুলো প্রোগ্রামগুলো বেশ কার্যকর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় প্রায়ই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়।