নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে এবার তিন পার্বত্য জেলায় ৩৮০ জন নারীকে গাভী বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বান্দরবানে ১৪০ জন, রাঙ্গামাটিতে ১২০ জন ও খাগড়াছড়িতে ১২০ জন অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক নারীকে গাভী প্রদান করা হবে। যার ফলে স্বাবলম্বী হয়ে নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে বান্দরবানের রেইচা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে গাভী বিতরণ করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের উন্নয়নে এই গাভী বিতরণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার বড়ুয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের উন্নয়নে গাভী বিতরণ করা হচ্ছে। আগামীতেও এই প্রকল্প চলমান রেখে নারীদের উন্নয়নে কাজ করবে সরকার।’
এদিকে গত ৭ মার্চ বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৪০ জন নারীকে বিতরণ করা গাভীগুলো বেশ রোগা প্রকৃতির বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা। বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিতরণ করা বেশ কয়েকটি গাভীর শরীরে ঘাঁ হয়ে পোকা ধরেছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এমন গাভী দেওয়ায় উপকারভোগী বিবি কুলসুমা বেগম গাভী নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ সময় কুলসুমাকে গাভী যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় নিতে জোর করেন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের লামার দায়িত্বে থাকা সুদর্শন চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প পরিচালক পিডি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন (উপসচিব) হারুনর রশিদ বলেন,‘ যদি কোনও গাভী অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে বদলিয়ে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিল থেকে সেই টাকা কেটে রাখা হবে।’